আজ থেকে 25 বছর আগে জাতিপুঞ্জ বা ইউনাইটেড নেশনস একটা উদ্যোগ নেয় – মে মাসের 15 তারিখ পালিত হবে বিশ্ব পরিবার দিবস হিসেবে। কোনও বিশেষ একটা দিন আলাদা করে নিয়ে খুব কাছের মানুষ বা পরিবার অথবা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটাতে হবে -- এমন একটা ধারণের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার বলেন, একটা বিশেষ দিন আলাদা করে থাকলেই বা ক্ষতি কী?
আমরা সে সব তর্কে না ঢুকেও কয়েকটা বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছি গত মাস দুয়েকে। আপনার বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, প্রেমিকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে পরিবার। মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি, সন্তান, ভাই-বোন – মোদ্দা কথায়, আপনার পৃথিবীর বনিয়াদ যাঁদেরকে ঘিরে তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কের ফুটোফাটাগুলিকে সারিয়ে ফেলুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ভাবুন তো, যাঁরা বাড়ি থেকে দূরে, স্বজন-পরিজন ছাড়া একা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন এই সময়টায়, তাঁদের চেয়ে আপনি কত ভালো আছেন? যে কোনও বিপদের মুখেই পড়ুন না কেন, তাঁরাই আপনার পাশে থাকবেন বরাবর।
পরিবারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কী করবেন
সুষম খাবার খাওয়ার উপর জোর দিন। রান্নায় ব্যবহার করুন হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ, আদা, রসুনের মতো মশলা। এমন খাবার খান যা হজম করা সহজ। প্রচুর জল খান। গ্রিন টি বা কালো চা খেতে পারেন, কারণ চায়ে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে। ফল আর শাকসবজি খান বেশি করে। খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করুন সবাই।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপস
সবার সঙ্গে কথা বলুন। পরিবারের সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে খেলতে পারেন কোনও বোর্ড গেম, সিনেমা দেখুন। বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান – এই পরিস্থিতিটা তাঁদের কাছেও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলো করুন। বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন। পৃথিবীতে সময় এভাবে বারবার থমকে দাঁড়াবে না। তার পূর্ণ সুযোগ নিন। যাঁরা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা একটু ধৈর্য ধরুন -- সারা দুনিয়ার অজস্র মানুষ মর্মান্তিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, আপনিও সেই লড়াইয়ের শরিক। আর এ কথাও ঠিক যে এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলবে না, সোনালি দিনের জন্য অপেক্ষা করুন একটু।
পরিবারের সকলের শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য কী করছেন?
লিখছেন রুদ্রাণী ভট্টাচার্য | June 12, 2020, 12:00 AM IST


মন্তব্য